মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং

ফ্রিল্যান্সিং শব্দটা নিয়ে আমাদের দেশে বেশ সোরগোল হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। কাজটা শুরু করেছিল বিডিওএসএন, তারপরে বেসিস থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অ্যাওয়ার্ড দেওয়ায় সেটা অন্য মাত্রা পায়। কিন্তু বিষয়টা নিয়ে অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই।


ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা কিন্তু নতুন না, ফ্রিল্যান্স কলাম লেখক আছেন, সাংবাদিক আছেন, ফটোগ্রাফার আছেন। তাঁরা যেটা করেন, কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের চাকরি করেন না, তাদের নিজের দক্ষতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেন, যখন যেখানে কাজ পান। এখন, ইন্টারনেটের কল্যাণে বিষয়টা বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে গেছে। লন্ডনের কেউ হয়ত নতুন ব্যবসা খুলবে, তার লোগো ডিজাইন করা দরকার, সেটা সে যদি লন্ডনে কাউকে দিয়ে করাতো, তাহলে তার খরচ হতো হয়ত ২০০০ ডলার, কিন্তু বাংলাদেশের একটি মেয়ে, যে কী না ফ্রিল্যান্স ডিজাইনার, সেটি করে দেবে ১০০ ডলারে। কিংবা আমেরিকায় কোনো কোম্পানী মোবাইল অ্যাপ তৈরি করবে, সেটি যদি তারা কোনো আমেরিকান সফটওয়্যার কোম্পানীকে দিয়ে করাতো, হয়ত ৫০,০০০ হাজার ডলার খরচ হতো, বাংলাদেশি সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানী সেটি করে দিবে ৫০০০ ডলারে। আবার এমনও হয় যে কানাডার কোনো সফটওয়্যার কোম্পানীতে কাজের চাপ বাড়ছে, তারা সেখানে বাড়তি লোক না নিয়ে অতিরিক্ত কাজ স্বল্প আয়ের কোনো দেশের কোম্পানীকে দিয়ে করালো। শেষের এই ব্যাপারটাকে বলে আউটসোর্সিং। মানে নিজে না করে, বানিজের কোম্পানীতে অতিরিক্ত লোকবল না নিয়ে, কোনো কাজ অন্য কোম্পানীকে দিয়ে করানো।


ইন্টারনেটের কারণে এই ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের বিষয়টা ভৌগলিক সীমারেখার বাইরে চলে গেছে। বেশ কিছু অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে, যেখানে বিড করে কাজ পাওয়া যায়, আর কাজ ঠিকঠাক শেষ হলে অর্থ প্রাপ্তিরও নিশ্চয়তা থাকে। সেজন্য সেই মার্কেটপ্লেস একটা কমিশন রাখে (সাধারনত ১০% বা তার আসেপাশে)। বাংলাদেশেও অনেক তরুণ-তরুণী এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ইন্টারনেটে অনেক কনটেন্ট আছে, বাংলাতেও আছে, এমনকী বইও আছে।

আমি লেখাটি যখন শুরু করেছিলাম,


কাকতালীয়ভাবে তার কিছুক্ষণ পরে প্রথম অলোর অনলাইন সংস্করণে এই লেখাটি প্রকাশিত হয়: http://www.prothom-alo.com/technology/article/194983/, এখানে অনেক সুবিধার কথা বলা আছে, তাই আমি সুবিধার বিষয়গুলো আর লিখলাম না।
এবার কয়েকটি অসুবিধার কথা বলি।

১) নিজের মেধার পূর্ণ ব্যবহার না করা।
অনেকের মধ্যেই অনেক ভালো কাজ করার মতো মেধা ও যোগ্যতা আছে। দরকার কেবল একটু পরিশ্রম। এখন কেউ ২ মাস ঘাঁটাঘাঁটি করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নেমে পড়ল, তার বয়স হয়ত ১৫। ঘণ্টায় ২ ডলার আয় করেই অনেক খুশি। মাসে ১০০ ঘণ্টা কাজ করলে ২০০ ডলার, মানে ১৫ হাজার টাকা! সে তার বেশিরভাগ সময়ই ব্যায় করতে লাগলো এসব কাজে। নতুন কিছু শেখা হলো না, নিজে উন্নত হলো না, তাহলে উন্নতিও হবে না। ১৫ বছর বয়সে ১৫ হাজার টাকা অনেক বেশি মনে হবে, কিন্তু আরো ১৫ বছর পরে, ৩০ বছর বয়সে ৩০ হাজার টাকা কিন্তু খুব বেশি নয়। তাহলে কী মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করবে না? করবে, কিন্তু সেটা প্রয়োজন হলে। খুব দরকার না হলে ওই বয়সে ফ্রিল্যান্সিং না করে বরং বিভিন্ন জিনিস শিখে নিজের ভিতটা শক্ত করা প্রয়োজন, যাতে ২ ডলার রেটের কাজগুলো করতে না হয়, ঘণ্টায় ১০ ডলার রেটে যেন শুরু করতে পারে। তীর অনেক সামনে যেতে চাইলে শুরুতে তাকে বেশ পেছনে টানা লাগে।


২) আরেকটা অসুবিধা হচ্ছে কাজের পরিবেশ ও একাকীত্ব। ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত বাসায় বসে কাজ করে। এতে বেশ কিছু সমস্যা হয়। যেমন বাসায় হয়ত বুঝতে চাইবে না যে সে কাজ করছে। হুটহাট বিভিন্ন কাজের ফরমায়েশ দেওয়া হবে। কিংবা সে যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তার স্ত্রী মনে করবে যে সে তার দিকে যথেষ্ট মনোযোগ না দিয়ে কম্পিউটার নিয়ে বসে আছে। আর বাচ্চা-কাচ্চা হলে তো কথাই নেই। ল্যাপটপে হিসু করে দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। তাহলে কী মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করবে না? করবে, তবে কাজের জন্য বাসার আলাদা একটা রুম ঠিক করে নিলে ভালো হয় যেখানে অন্যরা সহজে আসবে না। আরো ভালো হয় বাইরে শেয়ারড অফিস নিলে। বিদেশে এরকম অনেক কোওয়ার্কিং স্পেস ( co-working space ) আছে। যেখানে রুম কিংবা টেবিল ভাড়া নিয়ে কাজ করা যায়। সেখানে কাজের পরিবেশ ভালো থাকে। আবার অন্যদের সাথে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ মেলে। নিয়মিত বাইরে গেলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে এমন কোওয়ার্কিং স্পেস চালু হচ্ছে। সামনে হয়তো আরো বাড়বে। আর এমন ব্যবস্থা না থাকলে কয়েকজন ফ্রিল্যান্সার মিলে একটি অফিস ভাড়া নিয়ে ফেলা যায়!

৩) সামাজিক স্বীকৃতি। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যারা এখনও বিয়ে করে নি, তারা হয়তো টের পাচ্ছে না বিষয়টা। তবে এক্ষেত্রে বিডিওএসএন ও বেসিসকে ধন্যবাদ দিতে হয়, কারণ তারা এটা নিয়ে হৈচৈ করার কারণে ধীরে ধীরে মানুষ বিষয়টা সম্পর্কে জানতে পারছে।
৪) শেষ অসুবিধাটা হচ্ছে রাত জাগা। যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমেরিকার লোকজনের সাথে কাজ করতে হয়, আর সেটা পৃথিবীর মানচিত্রে আমাদের ঠিক উল্টো দিকে, তাই রাত না জেগে উপায় নেই। এটা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে এ থেকে পরিত্রাণের সহজ উপায় আমার জানা নেই।

মহান বিজয় দিবস ২০১৫

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। যেসব কীর্তিমান মানুষের আত্মত্যাগে এই বিজয় সম্ভব হয়েছিল, বিজয়ের দিনে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এ বিজয়কে অনিবার্য করে তুলেছিলেন, তাঁদের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ অভিবাদন।


পৃথিবীর সব স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা দিবস থাকলেও বিজয় দিবস থাকে না। বাংলাদেশ সেই বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী দেশ, যেটি ২৪ বছরের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের পর রণাঙ্গনে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছে।আমাদের স্বাধীনতার বয়স এখন ৪৪ বছর। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এটি খুব বেশি দীর্ঘ সময় না হলেও একটি জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য একেবারে কম নয়। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, যে লক্ষ্য ও আদর্শকে সামনে রেখে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সেই লক্ষ্য ও আদর্শ কতটা অর্জিত হয়েছে? স্বাধীনতার প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল সব ধরনের অধীনতা থেকে মুক্তি এবং সমাজে গণতন্ত্র, ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠা। সব নাগরিকের মৌলিক চাহিদা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বাহাত্তরের সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে মৌলিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।
কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয়, আমরা সেখানে স্থির থাকতে পারিনি। একদলীয় শাসন কিংবা সামরিক শাসন আমাদের অগ্রযাত্রাকে বারবার ব্যাহত করেছে। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রতিষ্ঠিত সংসদীয় ব্যবস্থাকেও আমরা সংহত করতে পরিনি। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ আর্থসামাজিক সূচকে আমরা অনেক এগিয়ে গেলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি।
আজকের বিজয় দিবসের শপথ হোক, সব ধরনের হানাহানি ও বৈরিতা-বিদ্বেষকে পেছনে ফেলে, দেশের ও জনগণের কল্যাণে সবাই এক হয়ে কাজ করব। আর এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের দায়ই যে বেশি, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিজয়ী জাতি কখনোই পরাভব মানে না। বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে অবিচল থাকবে।

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

CPU-Z ১.৫২ ব্যবহার করে আপনার প্রসেসর ও মেমরী সম্মন্ধে জানুন!!!

এটি একটি ছোট পোর্টেবল এপ. যার মাধ্যমে প্রসেসসরের আসল এবং বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন জানা যায়। ব্যবহার করা সহজ এবং পোর্টেবল তাই পেনয্রাইভ নিয়ে অন্যের কম্পিউটারেও ব্যবহার করা যায়। এছাড়া সিস্টেম মেমরীর বাস, এবং প্রস্তুতকারক কোম্পানী সম্পর্কে জানা যায়।
আরও জানা যায় প্রসেসরের:
processor name and vendor, core stepping and process, processor package, internal and external clocks, clock multiplier, partial overclock detection, processor features, supported instructions sets, L1 and L2 cache information, location, size, speed, and technology.
প্রিভিউ দেখুন

রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

যে ‘হোটেল’ থেকে পরিচালিত হয় ইন্টারনেট

গুগলে কোনো বিষয় সার্চ করলে আপনার সামনে অসংখ্য ফলাফল চলে আসে, যা থেকে আপনি তথ্যের চাহিদা মেটানো, বিনোদন, সংবাদ কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুর খবর সংগ্রহ করেন। মুহূর্তেই এ কাজটি সম্পন্ন হওয়ায় আপনি বুঝতেও পারবেন না, কতো হাজার মাইল ঘুরে আপনার চোখের সামনে এল তথ্যগুলো। এসব তথ্যই চোখের পলকে সরাবরাহ করার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইন্টারনেটের অবকাঠামো। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ‘ক্যারিয়ার হোটেল’-এর ভেতর প্রবেশ করেছিলেন পিটার গ্যারিট্যানো। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ওইয়ার্ড। ‘ক্যারিয়ার হোটেল’গুলো মূলত ডেটা সেন্টার, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে ইন্টারনেট সচল রাখে। পরিদর্শন শেষে তিনি জানিয়েছেন সেখানকার ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে। সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় বড় বড় সার্ভারের।

 এছাড়া রয়েছে নানা নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম। এ ধরনের বহু সরঞ্জাম একত্রে রাখা হয় কোলোকেশন সেন্টারে। এগুলো এক ধরনের ডেটা সেন্টার, যাকে কখনো কখনো ক্যারিয়ার হোটেলও বলা হয়। এসব অবকাঠামোর বিস্তারিত নিরাপত্তার জন্য সাধারণত প্রকাশ করা হয় না। এগুলোর মধ্যে অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটি নিউ ইয়র্কে অবস্থিত। ক্যারিয়ার হোটেল নামে নিউ ইয়র্কের ইন্টারনেট ডেটা সেন্টারের অভ্যন্তরে রয়েছে বিশাল সব সার্ভার, বহু নেটওয়ার্ক হাব ও অসংখ্য তারের জঙ্গল। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত জেনারেটর রয়েছে এখানে। এছাড়া ডেটা সেন্টার ঠাণ্ডা করার জন্য রয়েছে বিশাল কুলিং সিস্টেম। নিউ ইয়র্কের এ ডেটা সেন্টার বা ক্যারিয়ার হোটেলে এটিঅ্যান্ডটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে ভ্যারাইজন নেটওয়ার্কের সংযোগ সাধিত হয়েছে। এছাড়া গুগলের সঙ্গেও তাদের সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভির প্রোভাইডারের আওতায় থাকা গ্রাহকরা যখন গুগলে কোনো বিষয় সার্চ করে তখন তা এ ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে গুগলের সার্ভার থেকে তথ্যগুলো পেয়ে যায় চোখের নিমিষে। বিভিন্ন ইন্টারনেটনির্ভর প্রতিষ্ঠান এ ডেটা সেন্টারে তাদের সার্ভার স্থাপন করতে পারে। আর এতে তারা ওয়েবসাইট ও তথ্য ইন্টারনেটে প্রদর্শন করতে পারে। নিউ ইয়র্কে মোট পাঁচটি ক্যারিয়ার হোটেল বা ইন্টারনেট ডেটা সেন্টার রয়েছে। এগুলোর কার্যক্রম এতটাই গোপন যে তাদের অধিকাংশ নিজেদের নামও প্রকাশ করতে চায় না। তাদের মধ্যে দুটির নাম টেলএক্স ও জ্যায়ো। এদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।

উইন্ডোজ ১০-এ বড় পরিবর্তন

নতুন আপডেট আনা হয়েছে উইন্ডোজ ১০। বৃহস্পতিবার আনা এই আপডেটের ফলে উইন্ডোজের সর্বশেষ এই সংস্করণটিতে এসেছে বড় পরিবর্তন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, উইন্ডোজ ১০ আপডেট করার পর কম্পিউটার আরও দ্রুত হবে। সেই সঙ্গে ছবি হবে আগের চেয়ে আরও স্পষ্ট আর রিমাইন্ডার ঠিক করা যাবে আরও সহজে।
ক্রমান্বয়ে উইন্ডোজ ১০ উন্নত করেই যাচ্ছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। আর ব্যবহারকারীদের মতামতের উপর ভিত্তি করে এটি উন্নত করার ধারা চলমান রাখা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির উইন্ডোজ আর ডিভাইসবিষয়ক নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউসুফ মেহদি বলেন, “আমরা এটিকে শুধু নভেম্বর আপডেট হিসেবে দেখছি।”

নতুন আপডেট আনা হয়েছে উইন্ডোজ ১০-এ। বৃহস্পতিবার আনা এই আপডেটের ফলে উইন্ডোজের সর্বশেষ এই সংস্করণটিতে এসেছে বড় পরিবর্তন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, উইন্ডোজ ১০ আপডেট করার পর কম্পিউটার আরও দ্রুত হবে। সেই সঙ্গে ছবি হবে আগের চেয়ে আরও স্পষ্ট আর রিমাইন্ডার ঠিক করা যাবে আরও সহজে।



ক্রমান্বয়ে উইন্ডোজ ১০ উন্নত করেই যাচ্ছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। আর ব্যবহারকারীদের মতামতের উপর ভিত্তি করে এটি উন্নত করার ধারা চলমান রাখা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির উইন্ডোজ আর ডিভাইসবিষয়ক নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউসুফ মেহদি বলেন, “আমরা এটিকে শুধু নভেম্বর আপডেট হিসেবে দেখছি।”

নতুন আপডেটের ফলে উইডোজ ৭ চালিত কম্পিউটারের তুলনায় উইন্ডোজ ১০ চালিত কম্পিউটার ৩০ শতাংশ দ্রুততর গতির হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এর এজ ব্রাউজারে আনা হয়েছে ক্রোমের মতো ফিচার, যার ফলে ব্যবহারকারীরা তাদের উইন্ডোজ ১০চালিত সব ডিভাইসের ডেটাগুলোই একটি ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারবেন। আর ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপ কর্টানায় থাকছে হাতে লিখে রিমাইন্ডার ঠিক করার সুবিধা। সব কিছুর সঙ্গে থাকছে আগের চেয়ে উন্নত ছবি।

কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য আপডেটটিতে আনা হয়েছে আকর্ষণীয় সেবা। এখন থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের আইটি ব্যবস্থাপকরা ঠিক করতে পারবেন কেমন হবে তাদের অফিসের উইন্ডোজ ১০- এর পরবর্তী আপডেট। বর্তমানে ১১ কোটিরও বেশি কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এখন এটি কর্পোরেট বিশ্বের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে সিএনএন। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উইন্ডোজ ১০-কে প্রথম পছন্দ হিসেবে দেখতে চায় মাইক্রোসফট।